হাফিজুর রহমান শিমুলঃ
কালিগঞ্জে স্বাস্থ্যসেবায় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং নানাবিধ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। দশ বেডের হাসপাতালে একজন চিকিৎসক, একজন আয়া নিয়ে বহুল বিতর্কিত ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম চালান হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতাল। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুজা মণ্ডল ভোক্তা অধিকার আইনে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কালিগঞ্জ উপজেলার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্নে হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এ্যান্ড হাসপাতালে অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল কবীরসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
উল্লেখ্য যে, চিকিৎসার নামে প্রতারণা, ভুল রিপোর্ট প্রদান ও রোগীর শারীরিক ক্ষতির অভিযোগে “হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল” এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী মোঃ ফজলুর রহমান। তিনি সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কাছে। অভিযোগটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং প্রশাসন তৎপরতা শুরু করে।
ভুক্তভোগী ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন, তিনি অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার আবু মুসার পরামর্শে ওই হাসপাতালটি ভর্তির মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা করান। সেখানে করা আল্ট্রাসনোগ্রাম সহ পরীক্ষার রিপোর্টে চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকলেও রিপোর্টে অদ্ভুত ও অসম্ভব তথ্য উল্লেখ ছিল একজন পুরুষ রোগীর রিপোর্টে (জরায়ু) সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল। পরে অন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে বিষয়টি যাচাই করে তিনি নিশ্চিত হন যে রিপোর্টটি জাল এবং চিকিৎসকের স্বাক্ষরও ভুয়া। ফজলুর বলেন, “ল্যাব সহকারীরা চিকিৎসকের স্বাক্ষর জাল করে একটি মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেই ভুয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা নেওয়ার ফলে আমার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply